430
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেসিস নির্বাচনে লড়ছেন শিল্পপতি মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
নুসরাত সোনিয়া, স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ২:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

*বিজয়ী হতে দিয়েছেন অসংখ্যা প্রতিশ্রুতি
*জীবনে রয়েছে ২৬টি কর্পোরেট কোম্পানির লিগ্যাল এডভাইজারের অভিজ্ঞতা
* সফটওয়্যার ও শিল্পের মেধাস্বত্ব আইন, কপিরাইট, প্যাটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক, ট্যাক্স, ভ্যাট, ট্যাক্স এক্সেম্পশন, ইনসেন্টিভসহ আইটি খাতকে সর্ববৃহৎ খাতে পরিণত করা পর্যন্ত সরকারের সাথে দর কষাকষি করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর এক্সেম্পশন এর দাবী আদায়ে ও সকল প্রকার আইন ও নীতিমালার উপযোগী সংশোধন এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেসিসের পক্ষে সরকারকে সরাসরি সহযোগিতা করে ও পলিসি লেভেলে জোড়ালোভাবে কাজ করে তা নিশ্চিত করতে চান।
*ইনসেন্টিভ ১০% থেকে ৮% এ নেমে এসেছে। সেটাকে পুনরায় ১০% এ পুনর্বহাল রাখার জন্য জোড়ালোভাবে সরকারের সাথে দর কষাকষি করে নিশ্চিত করবেন।

আইটি খাতের উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। যার নেশা ব্যবসা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, তাকে চাকরিতে কে বেঁধে রাখতে পারে। তাইতো বিশ্বব্যাংকের একটি উইং MGF (Matching Grant Facility) এ ৬ বছর সফলতার সাথে Financial & Management Consultant পদে দায়িত্ব পালনের পরও চাকরি ছাড়তে পিছ পা হননি। চাকরি ছেড়ে দিয়ে পারিবারিক ব্যবসা গার্মেন্টস ও এগ্রো ব্যবসার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি খাতে “Alien Technology Limited” নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি গড়ে তোলেন ২০০৪। বিশ্বব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় দেশের রপ্তানিকারকদের Compliance Development এর জন্যে প্রায় ৪০০ শত প্রাইভেট অর্গানাইজেশন গুলোতে funding করার বিশাল এক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে ফান্ডিং করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তার একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা করছেন এ শিল্পপতি। অবশ্য চাকরি থেকে একটি বড় শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। যা তার ব্যবসায়ীক জীবনে কাজে লাগাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উদ্যোক্তা বাংলাদেশের পাঠকদের বলছি শিল্পপতি মোহাম্মদ আমিনউল্লাহর কথা।

মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ ব্যবসায় ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মানব সেবায় নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি। করপোরেট স্যোসাল রেসপনসিবিলিটিতে তিনি থাকেন প্রথম সারিতে। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস ( বেসিস)। গত ১৭ বছর যাবত বেসিসের সাধারণ সদস্য হিসেবে বেসিসে বহু স্ট্যান্ডিং কমিটির সাথে যুক্ত হয়ে বহু কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বেসিসের IPR-(Intellectual Property Rights) Forum এর কনভেনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পাশাপাশি আরও দুইটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বেসিসের প্রায় অর্ধ শতাধিক সদস্যদের ট্যাক্স ও লিগ্যাল বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বর্তমানে তিনি আইটি ব্যবসার পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবেও সুপরিচিত।

২০২৪-২০২৬ বেসিস নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। এবারের বেসিস নির্বাচনে তিনটি প্যানেল রয়েছে। টিম সাকসেস, টিম ওয়ান, টিম স্মার্ট। টিম সাকসেসের প্যানেলের প্রতিনিধি হয়ে লড়ছেন তিনি।

মোহাম্মদ আমিনউল্লাহর প্রতিশ্রুতি : মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ বেসিস নির্বাচনে নির্বাচিত হলে যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-

ক. একজন আইটি ব্যবসায়ী ও আইনজীবী হিসেবে বেসিসের সদস্য কোম্পানিগুলোর জন্য সরকারের সকল পলিসি লেভেলে কাজ করবো।

খ. স্থানীয় বাজার সফটওয়্যার ও শিল্পের মেধাস্বত্ব আইন, কপিরাইট, প্যাটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক, ট্যাক্স, ভ্যাট, ট্যাক্স এক্সেম্পশন, ইনসেন্টিভসহ আইটি খাতকে সর্ববৃহৎ খাতে পরিণত করা পর্যন্ত সরকারের সাথে দর কষাকষি করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর এক্সেম্পশন এর দাবী আদায়ে ও সকল প্রকার আইন ও নীতিমালার উপযোগী সংশোধন এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেসিসের পক্ষে সরকারকে সরাসরি সহযোগিতা করে ও পলিসি লেভেলে জোড়ালোভাবে কাজ করে তা নিশ্চিত করতে চাই।

গ. সরকারের সাথে সকল নীতিমালা বাস্তবায়নে বেসিসের সংবিধান সময়োপযোগী দূরদর্শী সম্পন্ন করতে যথাযথ কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আমি আমার ৩২ বছরের চৌকস অভিজ্ঞতাকে বেসিসের জন্যে কাজে লাগাতে চাই। বেসিসকে ঢেলে সাজাতে চাই। কর, ভ্যাট ও যেকোনো আইনী প্রক্রিয়া নিয়ে যেনো কোনো বেসিস সদস্যদের ভোগান্তি না হয় সে ব্যপারে কাজ করতে আমি বদ্ধপরিকর। ইনসেন্টিভ ১০% থেকে ৮% এ নেমে এসেছে। সেটাকে পুনরায় ১০% এ পুনর্বহাল রাখার জন্য জোড়ালোভাবে সরকারের সাথে দর কষাকষি করে নিশ্চিত করবো।

ঘ. আমি বিশ্বাস করি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সফল হওয়ার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলোসরকারের সাথে আইন ও নীতিমালা প্রণয়নে সমন্বয়ক হয়ে সংগঠনের জন্য তথা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সহায়ক ও ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন। আর তার জন্য প্রয়োজন ব্যবসায়ীদের সহায়ক নীতিমালা ও পলিসি লেভেলে সরকারকে বুঝানো ও সরকারের সাথে কাজ করা। আমাদের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি সবেমাত্র রানওয়াতে টেকঅফ হতে যাচ্ছে। ঠিক এ সময়ে যদি সরকার আমাদের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়, তাহলে ইন্ডাস্ট্রি বড় হবে না। ইন্ডাস্ট্রি বড় না হলে এ দেশের আইটি খাত বড় হবে না। আর এই তথ্য ও প্রযুক্তি খাত বড় না হলে সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করাও কঠিন হয়ে পড়বে। তাই দেশকে স্মার্ট করতে হলে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ক্রমবর্ধমান সবচেয়ে বড় সংগঠন এই বেসিসকে বড় করতে হবে। তাই আমি এটা নিয়ে সরকারের সাথে কাজ করতে চাই।

ঙ. আর বেসিসকে বড় করতে হলে বেসিসকে আরো Uniformed ও disciplined করতে হবে। বেসিস ইউনিফর্মড হলেই সদস্যরা আরো uniformed ও disciplined হবে, চাঙ্গা হবে, Inspired হবে, আর সেই সাথে বেসিসকে আরো দক্ষ, স্মার্ট ও সময়পযোগী সচিবালয় তৈরি করব। বেসিসে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবো।

চ. আমি নির্বাচিত হলে বেসিসে সবসময়ের জন্য ট্যাক্স, ভ্যাট, যেকোনো লিগ্যাল ইস্যু নিয়ে একটি হেল্পডেস্ক খুলব। যেখানে বেসিসের সকল সদস্যরা ফ্রী পরামর্শ পাবেন। আর অন্যান্য লিগ্যাল ইস্যুতে যদি কোনো আইনজীবী কাজ করে সেক্ষেত্রে বেসিস সদস্যদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা করবো।

ছ. প্রত্যেকটা সদস্য কোম্পানির প্রোডাক্ট ও সেবাগুলোকে কপিরাইট, পেটেণ্ট, ডিজাইন, ও রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক করে তাদের প্রোডাক্টের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে সকল প্রকার সেবা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।  সফটওয়্যারও যে একটা সম্পদ ! সফটওয়্যারও যে একটা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি যা কী না ব্যাংক মর্টগেজ রেখে বেসিসের সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোকে লোন দিতে পারে। সে ব্যপারে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাবো নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত।

জ. দেশের বেকার তরুণ-তরুণীদের তথ্য ও প্রযুক্তি খাত, বিদেশী ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়ে জনশক্তি রপ্তানিতে বেসিসে ভূমিকা রাখবো।

ঝ. বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদা বা শ্রম আইনের সংশোধন করে একটা সময়পোযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নে সরকারের সাথে কাজ করে সেটা নিশ্চিত করবো।

ঞ. একটি সদস্য প্রতিষ্ঠান যেনো অন্য একটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে লোভ দেখিয়ে না নিয়ে যেতে পারে, সেটার জন্য বেসিসে আলাদা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবো।

ট. আগামী দুই বছরে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে Collaboration করে কমপক্ষে ১০টি আইটি পার্ক/ভবন স্থাপন করার উদ্যোগ নিবো। যেখানে সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সহজ শর্তে ও সাশ্রয়ী মূল্যে অফিসের সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক সকল সুবিধা ভোগ করতে পারে।

মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ প্রায় ২৬টি কর্পোরেট কোম্পানির লিগ্যাল এডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য; Robi Axiata, Bullian Mart, ডিসিসিআই, BIDA, Sonali Bank, Janata Bank, Shilpa Bank, Krishi Bank, Rupali Bank, ICB, Bangladesh Bank এর EEF Unit, Flora, Chaldal অন্যতম।

তিনি একজন ভালো সংগঠক। ১৯৮৫ সালে স্পোর্টস ও সামাজিক জনকল্যাণমূলক “ঢাকা ইয়ুথ ক্লাব” নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবেও বেশ অনেক বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২১ বছর যাবত NEED ( National Education & Emancipation from Disability) নামে একটি NGO প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় বেশ পারদর্শী ছিলেন। স্কুল ও কলেজ জীবনে একজন সফল এথলেট ছিলেন। তিনি কুমিল্লার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা একজন “রত্নগর্ভা” উপাধি প্রাপ্ত। সাত ভাই-বোনের মধ্যে মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ ষষ্ঠ সন্তান। মোহাম্মদ আমিনউল্লাহ কুমিল্লা জেলা স্কুল, নটরডেম কলেজ তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি ও আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে দুইজন কন্যা সন্তানের জনক।

বেসিস নির্বাচনে তিনি সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন প্রত্যাশী।