430
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ এপ্রিল ২০২৪
  1. অনুসন্ধানী ও বিশেষ প্রতিবেদন
  2. অপরাধ-আইন ও আদালত
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি, টেলিকম ও ই-কমার্স
  5. আবাসন-ভূমি-রাজউক-রিহ্যাব
  6. উদ্যোক্তা
  7. করপোরেট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  8. কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ
  9. গণমাধ্যম
  10. গৃহায়ন ও গণপূর্ত
  11. জনশক্তি ও পর্যটন
  12. জনসংযোগ-পদোন্নতি ও সম্মাননা
  13. জাতীয়
  14. ডিএস‌ই- সিএস‌ই-বিএস‌ইসি
  15. নগরজীবন
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজউক প্রণীত ড্যাবের সমস্যা আবাসন খাতে অস্থিরতার অন্যতম কারণ

https://www.uddoktabangladesh.com/wp-content/uploads/2024/03/aaaaaa.jpg
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ
এপ্রিল ১১, ২০২৪ ২:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আবাসন খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য শিল্প বিকাশেও এ খাতের অবদান অনেক। বর্তমানে এ খাতে চলছে অস্থিরতা। রাজউক প্রণীত ড্যাবের সমস্যা আরেকটি অস্থিরতার অন্যতম কারণ। তবে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবাসন খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্যেক্তা ও ব্যবসায়িরা। তাদেরই একজন আমানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসউদুল হক। তিনি উদ্যোক্তা বাংলাদেশকে জানিয়েছেন এ খাতের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জোনায়েদ মানসুর 

উবা: দেশের বর্তমান আবাসন ব্যবসা পরিস্থিতিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? 

মাসউদুল হক : দেশের আসাবন খাত গত ৩২ বছর ধরে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কর্মসংস্থানসহ দেশের অন্যান্য শিল্প খাতের বিকাশেও ভূমিকা রয়েছে আবাসন খাত। তবে বর্তমানে এ খাতে চলছে অস্থিরতা। রাজউক প্রণীত ড্যাবের সমস্যা আরেকটি অস্থিরতার অন্যতম কারণ। পাশাপাশি আবাসন খাতে ব্যবহৃত উপকরণগুলির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কোন রকমে ব্যবসাটি চালিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে । এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে আনা। সেই সঙ্গে ট্রান্সফার ফিও কমিয়ে আনা যেতে পারে। আমরা নানা সমস্যায় ভূগছি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ তথা ইউটিলিটি সংযোগ পেতে এখনো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। যার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেক সময় অনেকের পক্ষে গ্রাহকদের অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্লাট হস্তান্তর করা সম্ভব হয় না। আমরা শুধু আশার বাণী শুনে যাচ্ছি। এখনো অন্তত ১০টি জায়গায় যেতে হয় বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য। এগুলোকে সহজ করতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিষয়গুলো চিহ্নিত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে রিহ্যাবের নেতৃবৃন্দকে আরো কর্মতৎপরতা বাড়িয়ে স্বল্প দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

উবা: সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের সহায়তা পাচ্ছেন? 

মাসউদুল হক : আমরা ব্যবসা করি। সরকারের সহযোগিতা চাই প্রতিটি ধাপেই প্রয়োজন। অনেক পরিশ্রম করে ব্যবসায় আসতে হয়েছে। এই ব্যবসায় সরকার যদি ট্যাক্স কমিয়ে দেয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি দেশের ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বল্প মুনাফায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের ফ্ল্যাট কিনতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা দেওয়া উচিত।

উবা: এসব সহায়তার সুফল কিভাবে পাবেন গ্রাহকরা?

মাসউদুল হক : আমরা যেমন রাজধানী ঢাকসহ বিভাগীয় শহরগুলোকেও বেছে নিয়েছে। ঢাকার মতো বিভাগীয় শহরগুলোর প্রকল্পে সব সুযোগ সুবিধা পাবেন আমাদের সকল গ্রাহক। টেকসই শহর উন্নয়নে মাস্টার প্লান অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। এক কথায় উন্নত দেশের শহরগুলোর মতো নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্রুতগতিতে যানজট, বায়ুদূষণ এবং শব্দদূষণ প্রতিরোধ করে নগরবাসীকে আধুনিক শহর হিসেবে উপহার দিতে চাই। বলতে পারেন হাঁটিহাঁটি পাঁ পাঁ করে আমানা গ্রুপ এখন রাজশাহীর অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। রাজশাহীতে আধুনিক শহর উপহার দিতে কাজ করছে উত্তরায়ন আমানা সিটি। রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ আমচত্বর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘উত্তরায়ন আমানা সিটি’। এ সিটি হবে রাজশাহী বিভাগের সেরা মেগা সিটি।

উবা: রাজধানীর বাইরে প্রকল্প তৈরিতে আমানা গ্রুপকে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে? 

মাসউদুল হক : প্রতিনিয়ত তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মাধ্যমে নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা, কর্মপদ্ধতি এবং বিক্রয় ব্যবস্থাপনা সামনে আসছে। ফলে প্রতিদিনই মানুষের চাহিদা, ব্যবস্থাপনা ও সেবার ধরণে পরিবর্তন ঘটছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আমানা গ্রুপ ২০১০ সালে তার কর্মযাত্রা শুরু করে। যদিও যাত্রার শুরুটা সহজ ছিল না। সততার সঙ্গে জনগণকে সেবা করার উদ্দেশ্যে একটি ভবিষ্যত লক্ষ্য নিয়ে আমানা গ্রুপ বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে। আমাদের গ্রুপে প্রত্যক্ষভাবে সাড়ে তিন হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এ গ্রুপের বহরে যুক্ত হয়েছে আইটি সরঞ্জাম, রিয়েল এস্টেট, চেইন সুপার শপ, রেস্তোরাঁ, কৃষি রাসায়নিক শিল্প, কৃষি খামার, আইটি শিল্প, খাদ্য ও পানীয়, শিশু বিনোদন, তৈরি পোশাক ব্র্যান্ড শপ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কনভেনশন সেন্টার এবং নির্মাণ সামগ্রীর ঠিকাদার এবং সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করছে। আমানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ফজলুল করিমসহ আমরা পুরো টিম সফলতা ও সেবার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি দেশে ও জনগণের কল্যাণে।

উবা: কোন কোন দিক বিবেচনা করে আমানা গ্রুপ সুপারশপ ব্যবসায় এসেছে? 

মাসউদুল হক : আজকাল বাজারের জন্য সবাই সুপার শপগুলোকেই বেছে নেয়। কারণ ঝামেলাবিহীন শপিংয়ের জন্য সুপার শপই এখন সেরা। সব পণ্য এক জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তো বটেই, সুপারশপে কেনাকাটার আরও সুবিধা হচ্ছে, এখানে ঠকার সুযোগ কম। বাজারে অনেক সুপার শপের ভিড়ে আমরা একটা অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছি। মানে আপোষহীন ও সাশ্রয়ের দিক দিয়ে সেরাটাই দিয়ে থাকি। থাকে নানা অফার। আমাদের রয়েছে হোম সার্ভিস ও এসএমএস সুবিধা। সারাদেশে আমানা বিগ বাজার সুপার শপের ১০ টি আউটলেট আছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-ঢাকার উত্তরা, কাকরাইল, মিরপুর ডিওএইচএস, মহাখালী এস.কে.এস টাওয়ার, কুমিল্লা, রাজশাহী ও নাটোর ইত্যাদ।

 

উবা: আর কোন কোন ব্যবসা খাতে যুক্ত হয়েছে আমানা গ্রুপ?

মাসউদুল হক : আমানা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে ১২টি। এ মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-আমানা বিগ বাজার লিমিটেড, উত্তরায়ণ আমানা সিটি লিমিটেড, আমানা হোমস লিমিটেড, আমানা অ্যাগ্রো কেমিক্যালস লিমিটেড, আমানা ফুড এবং কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড, আমানা ইন্টারন্যাশনাল (প্রাইভেট) লিমিটেড, আমানা কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, আমানা মার্কেটিং লিমিটেড, আমানা ফুডভ্যালি লিমিটেড, আমানা ফানভিল লিমিটেড, রেঞ্জ ফ্যাশন লিমিটেড ইত্যাদি।